মানুষ সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে। শুধু মানুষ নয় কিন্তু সমস্ত সৃষ্টিও স্রষ্টার প্রশংসা ও আরাধনা করে। স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করা যথার্থ ও যুক্তিযুক্ত। প্রার্থনা হলো ঈশ্বরের সাথে যোগাযোগ ও আত্মিক সম্পর্ক স্থাপন। ঈশ্বরের সাথে কথা বলা ও তাঁর কথা শোনা। আমরা ব্যক্তিগতভাবে, পরিবারমণ্ডলী, বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রার্থনা করি। প্রার্থনা খ্রীষ্টিয় জীবনের একটি প্রধান অংশ। আমাদের জীবনে শৃঙ্খলা ও অন্তরে প্রশান্তি লাভের জন্য প্রার্থনা খুবই প্রয়োজন। প্রার্থনার মাধ্যমে ঈশ্বর, মানুষ ও নিজের সাথে একটি পবিত্র সম্পর্ক তৈরি করে। দুঃখ-কষ্টের সময় সান্ত্বনা লাভ করে। পরিবার-পরিজনদের সাথে
এক গভীর সম্পর্কে যুক্ত হয়। আমাদের সবারই প্রার্থনা করা দরকার। যীশু বলেছেন, "চাও, তোমাদের দেয়া হবে; খোঁজ করো, তোমরা পাবে; কড়া নাড়ো, তোমাদের জন্য দ্বার খুলে দেয়া হবে" (মথি ৭:৭)। তাই বিশ্বাসসহকারে যীশুর কাছে প্রার্থনা করলে তিনি আমাদের প্রার্থনা শোনেন ও পূরণ করেন।
প্রার্থনার মাধ্যমেই ঈশ্বরের অনুগ্রহ এবং পরিচালনা লাভ করা যায়। প্রার্থনায় প্রশংসা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন, আরাধনা, অনুনয়, অনুতাপ, অনুশোচনা ও দোষ স্বীকার করে পুনরায় মিলনের বিষয় থাকতে পারে। আমারা নিরবে বা সরবে, হাঁটু পেতে, দাঁড়িয়ে, বসে, উপুড় হয়ে, গানের মাধ্যমে এবং প্রকৃতি দেখেও প্রার্থনা করে থাকি। দিনের যে কোনো সময় যেমন- সকালে, দুপুরে, রাতে, ঘর থেকে বের হবার সময়, খাবার আগে, ঘুমাতে যাবার সময়, ঘুম থেকে ওঠার সময় আমরা প্রার্থনা করতে পারি। অসুস্থতায়, বিপদে-আপদে, দুঃখ-কষ্টে, হতাশা-নিরাশায়, অভাবের সময় আমরা প্রার্থনা করে থাকি।
অব্রাহাম - অব্রাহাম সদোম ও ঘমোরা রক্ষার জন্য 'বিনতি' প্রার্থনা করেছেন (আদিপুস্তক ১৮:৩১)।
দানিয়েল - দানিয়েল দিনে তিনবার যিরূশালেম মন্দিরের দিকে তাকিয়ে 'হাঁটু পেতে' প্রার্থনা করেছেন (দানিয়েল ৬:১০)।
মোশি - মোশি ঈশ্বরের অভিমুখে 'হাত তুলে' প্রার্থনা করেছেন (যাত্রাপুস্তক ১৭:১১)।
দায়ুদ - দায়ুদ ঈশ্বরের কাছে 'কান্না' করে প্রার্থনা করেছেন (গীতসংহিতা ৬:৮)।
হান্না - হান্না কষ্ট দূর করার জন্য 'দীর্ঘসময়' প্রার্থনা করেছেন (১ শমূয়েল ১:১২)।
যীশু - যীশু গেৎশিমানী বনে 'উপুড়' হয়ে প্রার্থনা করেছেন (মথি ২৬:৩৯)।
প্রেরিত শিষ্যগণ "একত্রিত" হয়ে প্রার্থনা করেছেন।
ক) নিজে করি।
পরিবারের সবাই মিলে প্রার্থনা করছে এমন একটি ছবি আঁকি।
খ) ভেবে বলি।
i) প্রার্থনা বলতে কী বোঝায়?
ii) পবিত্র বাইবেলে মানুষকে কীভাবে প্রার্থনা করতে দেখা যায়?
iii) প্রার্থনায় কী কী বিষয় থাকতে পারে?
iv) আমরা জীবনের কোন কোন অবস্থায় প্রার্থনা করি?
গ) সঠিক শব্দ দিয়ে খালি জায়গা পূরণ করি।
এ পাঠে শিখলাম
- প্রার্থনার অর্থ, কীভাবে প্রার্থনা করা যায় এবং কখন আমরা প্রার্থনা করি।
পিতার সাথে যুক্ত থাকার জন্য যীশু সবসময় প্রার্থনা করতেন। যেকোন কাজ করার আগে, অতি ভোরে, গভীর রাতে, গেৎসিমানী বাগানে ও মরুভূমিতে, একাকী নির্জনে গিয়ে তিনি প্রার্থনা করেছেন। প্রার্থনার মাধ্যমে তিনি পিতার কাছে শক্তি চাইতেন। তাঁর শিষ্যদেরও তিনি সেই শিক্ষা দিয়েছেন। যীশুর সাথে তাঁর শিষ্যেরা ছিলেন। যীশু তাদের নানা বিষয়ে উপদেশ দিয়েছিলেন, যেমন ধর্ম-কর্ম করা, দান করা, সরল পথে চলা এবং প্রার্থনা করা ইত্যাদি। যীশু তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন, তোমরা যখন প্রার্থনা করো- তখন ভণ্ডদের মতো করো না, তারা লোক দেখানো প্রার্থনা করে। এইজন্য তারা রাস্তার মোড়ে বা প্রকাশ্য স্থানে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করতে পছন্দ করে। তাই তারা কিন্তু তাদের পুরস্কার পেয়েই গেছে। তিনি তাদের বললেন, তুমি যখন প্রার্থনা করো, নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে প্রার্থনা করো এবং পিতাকে ডাকো- যিনি গোপনে থাকেন। তিনি সবকিছু দেখতে পান এবং পুরস্কৃত করেন। যীশু সরল মনে, নিরবে এবং অন্তর থেকে প্রার্থনা করতে বলেছেন। অন্তর থেকে প্রার্থনা করলে ঈশ্বর প্রার্থনার উত্তর দেন। (মথি ৬:৫-৬)।
একসময় শিষ্যেরা যীশুকে বললেন, গুরু আমাদের শিখিয়ে দিন কীভাবে প্রার্থনা করতে হয়। তখন প্রভুযীশু তাঁর শিষ্যদের একটি প্রার্থনা শিখিয়েছিলেন। এই প্রার্থনাটিকে, "প্রভুর প্রার্থনা" বলা হয়।
ক্যাথলিক বিশ্বাস অনুযায়ী প্রভুর প্রার্থনা (মথি ৬:৯-১৩ পদ) | প্রোটেস্ট্যান্ট বিশ্বাস অনুযায়ী প্রভুর প্রার্থনা (মথি ৬:৯-১৩ পদ) |
হে আমাদের স্বর্গস্থ পিতঃ, তোমার নাম পূজিত হোক, তোমার রাজ্য প্রতিষ্ঠা হোক, তোমার ইচ্ছা যেমন স্বর্গে তেমনি মর্ত্যেও পূর্ণ হোক। আমাদের দৈনিক অন্ন অদ্য আমাদিগকে দাও। আমরা যেমন অপরাধীকে ক্ষমা করি, তেমনি তুমিও আমাদের অপরাধ ক্ষমা কর। আমাদিগকে প্রলোভনে পড়িতে দিও না, কিন্তু অনর্থ হইতে রক্ষা কর। আমেন।
| হে আমাদের স্বর্গস্থ পিতঃ, তোমার নাম পবিত্র বলিয়া মান্য হউক, তোমার রাজ্য আইসুক, তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হউক, যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও হউক; আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য আজ আমাদিগকে দেও; আর আমাদের অপরাধ সকল ক্ষমা কর, যেমন আমরাও আপন আপন অপরাধীদিগকে ক্ষমা করিয়াছি; আর আমাদিগকে পরীক্ষাতে আনিও না, কিন্তু মন্দ হইতে রক্ষা কর। কারণ রাজ্য, পরাক্রম ও মহিমা যুগে যুগে তোমার। আমেন।
|
এখন পর্যন্ত আমরা এই প্রভু যীশুর শিখানো প্রার্থনায় পিতাকে ডাকি এবং তাঁর প্রশংসা করি। তাঁর ইচ্ছা ও রাজ্য পূর্ণ হবার প্রার্থনা করি। এই প্রার্থনার মধ্য দিয়েই আমরা পিতার কাছে আমাদের দৈনিক খাবার চাই। আমরা যেমনভাবে অন্যের দোষ ক্ষমা করি, সেইভাবে নিজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি। তিনি যেন আমাদের সমস্ত পাপ ও অমঙ্গল থেকে রক্ষা করেন তা প্রার্থনা করি।
ক) বাম দিকের তথ্যের সাথে ডান দিকের তথ্যের মিল করি।
বাম পাশ | ডান পাশ |
i) আমরা যেমন অপরাধীকে ক্ষমা করি,
| i) তেমনি মর্ত্যেও পূর্ণ হোক। |
ii) কিন্তু অনর্থ
| ii) তোমার রাজ্য প্রতিষ্ঠা হোক। |
iii) তোমার নাম পূজিত হোক,
| iii) তেমনি তুমিও আমাদের অপরাধ ক্ষমা কর। |
iv) তোমার ইচ্ছা যেমন স্বর্গে
| iv) হতে রক্ষা কর। |
খ) সকলে হাত জোড় করে ভক্তিসহকারে প্রভুর শিখানো প্রার্থনাটি বলি।
গ) 'প্রভুর প্রার্থনাটি' সঠিকভাবে লিখি।
এ পাঠে শিখলাম
- প্রার্থনা বিষয়ে যীশুর শিক্ষা ও প্রভু যীশুর শেখানো প্রার্থনাটি শিখলাম।
"শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান" কথাটির অর্থ গভীর ও ব্যাপক। ভেদাভেদ ভুলে সকলে একসাথে মিলেমিশে আনন্দের সাথে থাকা, ভয় থেকে মুক্তিলাভ ও মানুষের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্প্রীতি স্থাপন করাই হলো শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। একত্রে বা ঐক্যে বসবাস করলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় না, কিন্তু শান্তিপূর্ণ চিন্তা-ভাবনায় বাস্তব জীবন যাপন করতে হবে। শান্তিপূর্ণ আচরণের কারণে মনের মধ্যে শান্তি লাভ করি। মনের শান্তি, পারিবারিক শান্তি ও সামাজিক শান্তি ছাড়া সহাবস্থান সম্ভব নয়। পরিবারিক শান্তি, খ্রীষ্টমণ্ডলী ও সমাজে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই পারিবারিক শান্তি একান্তভাবে প্রয়োজন। যেখানে সহযোগিতা ও ত্যাগ স্বীকার থাকে সেখানে একত্রে বাস করা সহজ হয়। মানুষের মন যখন শান্ত ও সন্তুষ্ট থাকে তখন শান্তিতে সহাবস্থান সম্ভব হয়।
সহাবস্থানের জন্য পরিবার, কৃষ্টি, ভাষা, জাতি, প্রতিবেশী ও দেশ পরস্পরের সাথে গ্রহণযোগ্য সম্পর্ক থাকা দরকার। সহাবস্থানে থাকার জন্য জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সম্প্রীতি ও সমঝোতা থাকা প্রয়োজন। মানুষের প্রতি মানুষের সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। যীশু বলেছেন, "তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মতো প্রেম করবে" (লুক ১০:২৭)। শান্তির জন্য সহনশীলতা, ধৈর্য, মিল, ঐক্য ও সমন্বয় থাকতে হবে। তার জন্য একে অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, গ্রহণ ও মেনে নেয়ার মধ্যদিয়ে শান্তিতে থাকা সম্ভব।
ক) ভেবে উত্তর লিখি।
i) শান্তিতে সহাবস্থান বলতে কী বুঝি?
ii) প্রতিবেশীকে ভালোবাসা বলতে কী বুঝি?
iii) শান্তিতে সহাবস্থান প্রয়োজন কেন?
iv) পবিত্র বাইবেলে শান্তিতে সহাবস্থান বিষয়ে কী লেখা আছে?
খ) শান্তি স্থাপনের একটি ঘটনা বলি।
এ পাঠে শিখলাম
- শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান কী তা জানতে পেরেছি।
'সহাবস্থান' বলতে একত্রিতভাবে থাকা বোঝায়। সহনশীলতা চর্চা সহাবস্থানের একটি ভালো উদাহরণ। আমরা বাংলাদেশে প্রধান চারটি ধর্মের লোক একত্রে বসবাস করছি। বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় উৎসবকালে আনন্দের সহভাগী হই। সকল ধর্মেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বসবাসের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নিচে চারটি ধর্মের শিক্ষা সম্পর্কে বলা হলো-
বাইবেলে সহাবস্থান সম্পর্কে বলা হয়েছে, "যারা তোমাদের অত্যাচার করে তাদের অমঙ্গল চেয়ো না, বরং মঙ্গল চেয়ো”। (রোমীয় ১২:১৪)। "মন্দের বদলে কারও মন্দ কোরো না। সমস্ত লোকের চোখে যা ভালো সেই বিষয়ে মনোযোগ দাও। তোমাদের দিক থেকে যতদূর সম্ভব সমস্ত লোকের সঙ্গে শান্তিতে বাস করো" (রোমীয় ১২:১৭-১৮)। "...তোমাদের সঙ্গে যে কেউ খারাপ ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে কিছুই কোরো না; বরং যে কেউ তোমার ডান গালে চড় মারে তাকে অন্য গালেও চড় মারতে দিয়ো।" (মথি ৫:৩৯)। "সেইজন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বেদীর উপরে তোমার যজ্ঞ নিবেদন করার সময় যদি মনে পড়ে যে, তোমার বিরুদ্ধে তোমার ভাইয়ের কিছু বলবার আছে, তবে তোমার দান সেই বেদীর সামনে রেখে আবার মিলিত হও এবং পরে এসে তোমার যজ্ঞ নিবেদন করো। (মথি ৫:২৩-২৪)।
আল কুরআন হলো ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ। এতে বলা হয়েছে, "হে মানবজাতি, আমরা তোমাদের সবাইকে এক পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি যাতে তোমরা একে অপরকে চিনতে পারো।" এই আয়াতটি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে গোষ্ঠী, ধর্ম, বর্ণের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য থাকবে না। ইসলাম শব্দটি দ্বারা 'শান্তি' বোঝায়। ৬২২ খ্রীষ্টাব্দে নবী মুহাম্মদ (সা.) কর্তৃক ঘোষিত মদিনা সনদে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে।
মহাত্মা গান্ধী অহিংসাকে তাঁর দর্শন ও জীবন যাপনের মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। ভগবদগীতা হিন্দু ধর্মের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ যার সারকথা হলো অহিংসা। ভগবদগীতা হিন্দুধর্মের একটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। ভগবদগীতায় ন্যায় ও ধার্মিকতা রক্ষা এবং নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য শিক্ষা দেয়া হয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্মে ব্রাহ্মবিহার, মৈত্রী, করুণা, মুদিতা ও উপেক্ষা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের একটি উদাহরণ। বৌদ্ধধর্মের মৌলিক শিক্ষাগুলো বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান প্রচার করে। প্রেম এবং ন্যায়বিচারকে অগ্রাধিকার দেয়। বৌদ্ধরা ধর্মীয় সংঘাত মোকাবেলার জন্য সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির প্রক্রিয়া অনুশীলন করে। এছাড়াও ঐক্যবদ্ধ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করে।
এই চারটি ধর্মের মৌলিক বিষয় জেনে আমরা অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারি। এতে করে সকলের সাথে মিলেমিশে শান্তিতে সহাবস্থান সহজ হবে।
ক) ভেবে উত্তর লিখি।
i) যে কোন একটি ধর্মের সহাবস্থানের বিষয় লিখো।
ii) ভাইয়ের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের বিষয়ে পবিত্র বাইবেলে কী লেখা আছে?
iii) যারা অত্যাচার করে তাদের বিষয়ে বাইবেলে কী লেখা আছে?
খ) বিদ্যালয়ে আন্তঃধর্মীয় প্রার্থনানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি।
গ) শ্রেণিকক্ষে চার ধর্মের শিক্ষার্থীরা একত্রে একটি উৎসবের আয়োজন করি।
এ পাঠে শিখলাম
- শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়ে চারটি প্রধান ধর্মের শিক্ষা লাভ করেছি।
পৃথিবীতে বিভিন্ন ধর্ম আছে। সব ধর্মই শান্তি ও ঐক্যের কথা বলে। ঐক্য হলো মিল ও একতা। ঐক্য বিভিন্ন দিক থেকে হতে পারে যেমন, মন, চিন্তা, সম্প্রীতি, ধর্মীয় ও বিশ্বাসের ঐক্য ইত্যাদি। ধর্মীয় ঐক্য স্থাপনের দ্বারা বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসী লোকদের মধ্যে সম্প্রীতি, শান্তি ও প্রগতি বৃদ্ধি পায়। ঐক্য সম্প্রীতিতে চলতে সাহায্য করে। অন্য ধর্মবিশ্বাসীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যায়। একে অপরের ধর্মীয় রীতি-নীতি ও প্রথার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করে। এতে অন্যের মতামত প্রাধান্য পায়। মানুষ নির্ভয়ে বসবাস করে। ধর্মীয় ঐক্য স্থাপনের মধ্য দিয়ে আমরা একে অন্যের বন্ধু হয়ে উঠি। ধর্মীয় উৎসবগুলো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। মানুষের মানসিক ও আত্মিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। ধর্মীয় ঐক্যের মাধ্যমে সহিংসতা লোপ পায়। পরস্পরের মধ্যে বিবাদ কমে যায়। যেখানে ধর্মীয় ঐক্য থাকে সেখানে রক্তপাত থাকে না ও যুদ্ধ বিগ্রহ দেখা যায় না। যেখানে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত থাকে সেখানে উন্নয়ন ব্যহত হয়। অশান্তি বৃদ্ধি পায় এবং সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মীয় ঐক্য স্থাপন করা একান্তভাবে কাম্য। এই ঐক্যের জন্য মানুষের মনের উদারতা দরকার। সংকীর্ণতা ও স্বার্থ ত্যাগ করা প্রয়োজন। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখা দরকার। অন্যকে গ্রহণ করার মনোভাব প্রয়োজন। প্রয়োজন ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা।
পবিত্র বাইবেলে লেখা আছে, "যদি সম্ভব হয়, তোমার পক্ষে যতদূর সাধ্য, সকলের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করো" (রোমীয় ১২:১৮)। পবিত্র বাইবেলে সব মানুষের সাথে শান্তিতে বসবাসের নির্দেশনা দেয়া আছে। কারো প্রতি হিংসা করতে ও প্রতিশোধ নিতে নিষেধ করা হয়েছে। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমে নিজ ধর্মবিশ্বাসীদের মধ্যে ঐক্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই ঐক্য ও শান্তি বিকশিত হয় দেশে দেশে ও সমস্ত বিশ্বে। অন্য ধর্মের লোকদের মধ্যে হিংসা ও প্রতিশোধ প্রবণতা থেমে গেলে ধর্মীয় ঐক্য স্থাপন সহজ হয়।
ক) ভেবে উত্তর লিখি।
i) ধর্মীয় ঐক্য বলতে কী বুঝি?
ii) বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় ঐক্য প্রয়োজন কেন?
iii) ধর্মীয় ঐক্য স্থাপনের ক্ষেত্রে বাইবেলের শিক্ষা কী?
iv) বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তোমার করণীয় কী?
খ) সঠিক তথ্যে টিক (√) এবং ভুল তথ্যে (x) চিহ্ন দেই।
i) বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ধর্মীয় ঐক্যের প্রয়োজন। ()
ii) ঐক্য সম্প্রীতিতে চলতে সাহায্য করে না। ()
iii) ধর্মীয় একতায় সহিংসতা কমে যায়। ()
iv) ঐক্য থাকলে রক্তপাত বন্ধ হয়। ()
এ পাঠে শিখলাম
:- শান্তি স্থাপনে ধর্মীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জেনেছি।
প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নিজেই শান্তিরাজ। তিনি শান্তি দিতে এ পৃথিবীতে এসেছিলেন। পবিত্র বাইবেলে যিশাইয় ভাববাদী বলেছেন, "কারণ আমাদের জন্য এক শিশুর জন্ম হয়েছে, আমাদের কাছে এক পুত্রসন্তান দেওয়া হয়েছে, শাসনভার তাঁরই কাঁধে দেয়া হবে। আর তাঁকে বলা হবে আশ্চর্য পরামর্শদাতা, পরাক্রমী ঈশ্বর, চিরন্তন পিতা, শান্তিরাজ।" প্রভু যীশু খ্রীষ্ট মানুষকে মিলেমিশে শান্তিতে বসবাস করার শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "আমি তোমাদের মধ্যে শান্তি রেখে যাচ্ছি, আমারই শান্তি তোমাদের দিয়ে যাচ্ছি। জগৎ যেভাবে দেয়, আমি সেভাবে তোমাদের দান করি না..." (যোহন ১৪:২৭)। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার জন্য যীশুর দেয়া শান্তি চর্চা করা খুবই জরুরি। আমরা যে যেখানে আছি, সেখান থেকেই শান্তির জন্য কাজ করতে পারি। শান্তিতে বসবাস করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যদিও শান্তিতে বাস করা খুবই কঠিন কাজ; কিন্তু যীশু খ্রীষ্ট সেই কঠিন কাজটি সফলতার সাথে সম্পন্ন করেছেন। আমরাও প্রত্যেকে শান্তির দূত হতে পারি। সমাজের সকল মানুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র সকলেই যদি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করি, তাহলে একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে পারি। আমরা আমাদের বিদ্যালয়ে সকলের সাথে মিলেমিশে আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করতে পারি। শান্তিতে বসবাস করার জন্য মনের মিল, ভালোবাসা, ধৈর্য ও সহনশীলতা দরকার।
বিশ্বশান্তির জন্য জাতিসংঘ বিশ্বজুড়ে কাজ করছে। বর্তমানে বিশ্বশান্তির জন্য বাংলাদেশে খ্রীষ্টমণ্ডলী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এছাড়াও অনেকগুলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যেমন কেয়ার, কারিতাস, সিসিডিবি, ওয়ার্ল্ড ভিশন, কম্প্যাশন কাজ করছে। খ্রীষ্টমণ্ডলী এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। মিশনারীগণও শান্তির জন্য বিভিন্নভাবে কাজ করছেন। আমরা নিজ নিজ জায়গা, পরিবার ও বিদ্যালয়ে শান্তির জন্য কাজ করতে পারি।
সকলে মিলে সুন্দর পৃথিবী গড়ার জন্য কাজ করবো। সবাই মিলে শান্তি ও আনন্দময় পরিবেশ গড়ে তুলবো। আমাদের লক্ষ্য এই পৃথিবীতে যেন ঈশ্বরের রাজ্য বিরাজ করে।
ক) ভেবে উত্তর লিখি।
i) পৃথিবীতে শান্তি দিতে কে এসেছিলেন?
ii) প্রভু যীশু কী শিক্ষা দিয়েছিলেন?
iii) আমরা প্রত্যেকে কী হতে পারি?
iv) শান্তিতে বসবাস করার জন্য কী দরকার?
v) আমাদের লক্ষ্য কী?
খ) খালি জায়গায় সঠিক তথ্য লিখি।
i) শান্তিতে বসবাস করা আমাদের ________ ।
ii) আমরা আমাদের বিদ্যালয়ে সকলের সাথে মিলেমিশে ________ পরিবেশ তৈরি করতে পারি।
iii) পৃথিবীকে ________ করার জন্য যীশুর দেয়া শান্তি চর্চা করা খুবই জরুরি।
iv) শান্তিতে বসবাস করা আমাদের ________ দায়িত্ব।
v) যীশু বলেছেন, আমি তোমাদের মধ্যে ________ রেখে যাচ্ছি।
এ পাঠে শিখলাম
- শান্তি প্রতিষ্ঠায় খ্রীষ্টমণ্ডলী কীভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তা জেনেছি।
মানুষ নিজের মঙ্গল ও জগতের কল্যাণ ভেবে, কতগুলি গুণাবলী স্বাধীনভাবে বেছে নেয়। প্রয়োজনে সে যে কোনো ত্যাগ-স্বীকার করে, তা নিজ জীবনে অনুশীলন করে। এই গুণাবলীগুলোই হলো মূল্যবোধ। এই মূল্যবোধগুলির কারণেই মানুষ জগত ও মানুষের কল্যাণে ব্রতী হয়। যীশুখ্রীষ্ট নিজে অনেক গুণের অধিকারী ছিলেন। মঙ্গল সমাচারে যীশুর জীবন ধ্যান করলে আমরা দেখতে পাই, যীশু সকল মানুষকে ভালোবাসতেন এবং সেবা করতেন। তিনি মানুষকে ক্ষমা এবং অসুস্থকে নিরাময় করতেন। তিনি ন্যায্যতার পক্ষে কাজ করেছেন। তাঁর আরও কতগুলি বিশেষ গুণ হলো- পরোপকার, শ্রদ্ধা, সহানুভূতি, আশা, শান্তি, সম্প্রীতি ও সততা। পিতা ঈশ্বরের প্রতি তাঁর অগাধ বিশ্বাস ছিলো। তিনি গভীর বিশ্বাস নিয়ে পিতার কাছে প্রার্থনা করতেন। এই গুণগুলি যীশু স্বেচ্ছায় ও স্বাধীনভাবে বেছে নিয়ে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতেন। তাই আমরা বলতে পারি, ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, পরোপকার, ন্যায্যতা, ঈশ্বরে বিশ্বাস ও প্রার্থনা যীশুখ্রীষ্টের জীবনের প্রধান মূল্যবোধ। এই সব মূল্যবোধ যীশু নিজ জীবনে ধারণ করেছেন। তারজন্য তিনি চরম মূল্য দিয়েছেন ক্রুশে মৃত্যুবরণ করে।
প্রভু যীশু খ্রীষ্টের শিক্ষায় অনেকগুলো মূল্যবোধ লক্ষ্য করা যায়, যেমন, বিশ্বাস, আশা, ভালোবাসা, ক্ষমা, দয়া, সেবা, পরোপকার, শ্রদ্ধা, সহানুভূতি, ধৈর্য, শান্তি, সম্প্রীতি, সততা ও ন্যায্যতাসহ অনেক মূল্যবোধ। এই মূল্যবোধগুলো জীবনে অনুশীলন করার জন্য যীশু আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। মানুষ যখন বিশ্বস্তভাবে এই মূল্যবোধগুলো নিজের জীবনে চর্চা করে তখন সে হয়ে ওঠে সমাজের একজন আদর্শ মানুষ। যীশু, ঈশ্বর ও মানুষকে ভালোবাসতে বলেছেন।
যীশু শত্রুকে ক্ষমা করতে শিক্ষা দিয়েছেন। পবিত্র বাইবেলে লেখা আছে, "তোমার শত্রু ক্ষুধিত হলে, তাকে খেতে দাও; পিপাসিত হলে জল দাও।" (হিতোপদেশ ২৫:১)। অসহায় মানুষদের প্রতি দয়া ও সহানুভূতি দেখাতে তিনি শিক্ষা দিয়েছেন। সমাজে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করতে ও শান্তি স্থাপন করতে বলেছেন। তাই একজন পরিপূর্ণ ও ভালো মানুষ হবার জন্য আমরা যীশুর শিক্ষা অনুসরণ করবো। খ্রীষ্টিয় মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হয়ে, সৎ জীবন যাপন করবো। খ্রীষ্টিয় মূল্যবোধগুলো নিজ জীবনে ও সমাজ জীবনে চর্চা করতে সচেষ্ট হবো। যারা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে ভালোবাসেন তারা প্রত্যেকেই তাঁর শেখানো মূল্যবোধগুলো চর্চা করে থাকেন।
ক) ভেবে লিখি।
i) খ্রীষ্টিয় মূল্যবোধ বলতে কী বুঝি?
ii) যীশুর জীবনের তিনটি মূল্যবোধ লিখি।
iii) মূল্যবোধগুলো কেন চর্চা করা প্রয়োজন?
iv) আমি কীভাবে যীশুর শেখানো মূল্যবোধগুলো চর্চা করতে পারি?
ⅴ) আমি কীভাবে যীশুর বন্ধু হয়ে উঠতে পারি?
খ) ৫টি খ্রীষ্টিয় মূল্যবোধের নাম লিখি।
ক্রমিক | মূল্যবোধ |
i)
| |
ii)
| |
iii)
| |
iv)
| |
v)
|
গ) সঠিক তথ্যে টিক (✓) চিহ্ন এবং ভুল চিহ্নে (x) দেই।
i) আমাদের সৎ জীবন-যাপন করা উচিত। ()
ii) মিথ্যা কথা বললে পাপ হয় না। ()
iii) শত্রুকে ভালোবাসা দরকার নাই। ()
iv) অসহায় লোকদের প্রতি দয়া ও সহানুভূতি দেখানো দরকার। ()
v) যীশু সব মানুষকে ভালোবেসেছেন। ()
vi) সব ক্ষেত্রে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা দরকার। ()
এ পাঠে শিখলাম
- খ্রীষ্টিয় মূল্যবোধ কী এবং খ্রীষ্টিয় বিশ্বাসের জীবনে তার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জেনেছি।
প্রভু যীশু খ্রীষ্ট সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে ভালোবেসেছেন। তাদের কল্যাণে কাজ করেছেন। তাদের শ্রদ্ধা করেছেন ও তাদের সাথে মিশেছেন। সমাজ পরিবর্তনেও তিনি অনেক সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তিনি কর দিতে বলেছেন। যীশু বলেছেন, "যা কৈসরের প্রাপ্য, তা কৈসরকে দাও, আর ঈশ্বরের যা প্রাপ্য, তা ঈশ্বরকে দাও" (লুক ২০:২৫)। রাজ্যের সম্রাট ও বড়দের সম্মান করতে শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি নারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। করগ্রাহীকে তুচ্ছ করেননি। যীশু দাসপ্রথা বিলোপ করেছেন। তিনি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। যীশু মানুষের প্রয়োজনে মানুষের পাশে ছিলেন। মানুষের জীবন পরিবর্তন করেছেন। তিনি সক্কেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। যীশু সন্ধেয়কে দেখে বললেন, "সক্কেয়, এখনই নেমে এসো, আজ আমাকে অবশ্যই তোমার ঘরে থাকতে হবে" (লুক ১৯:৫)। যীশু জেলেদের সাথে থেকেছেন। তাদের শিষ্য করেছেন। তিনি অসুস্থদের নিরাময় করেছেন। মানুষের পাপ ক্ষমা করেছেন। যীশু ক্রুশের উপর দস্যুকে ক্ষমা করেছেন। যারা তাঁকে নির্যাতন করেছেন তাদেরও ক্ষমা করেছেন। তিনি তাদের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে বলেছেন, "পিতা, এদের ক্ষমা করো, কারণ এরা জানে না, এরা কী করছে" (লুক ২৩:৩৪)। পাপী মানুষের জন্য পরিত্রাণ এনেছেন। যাদের কোনো আশা ছিলো না তিনি তাদের আশা দেখিয়েছেন। তিনি বিজাতীয় মানুষকে গ্রহণ করেছেন ও মর্যাদা দিয়েছেন। পিতা মাতাকে সম্মান করতে শিক্ষা দিয়েছেন। হারানো মানুষকে ফিরে পাবার জন্য তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন।
তাই আমরাও যেন খ্রীষ্টিয় মূল্যবোধের আলোকে সমাজে পরস্পরকে ভালোবেসে ও ক্ষমা করে সুন্দর সমাজ গড়ে তুলি।
ক) ভেবে উত্তর দেই।
i) প্রভু যীশু কাদের ভালোবেসেছেন?
ii) যীশু কার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন?
iii) প্রভু যীশু কাকে কর দিতে বলেছেন?
iv) তিনি কাদের ক্ষমা করতে বলেছেন?
v) যীশু কীভাবে সমাজ পরিবর্তন করেছিলেন তার দুটি উদাহরণ দাও।
খ) বন্ধুর প্রতি তুমি কীভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করেছো এমন একটি ঘটনা বলো।
এ পাঠে শিখলাম
- সমাজ বাস্তবতায় খ্রীষ্টিয় মূল্যবোধ অনুশীলন।
আরও দেখুন...